ভেজা চিঠি

 


ভালবাসার যে কোন মুহূর্ত লাগে না তারা দুই জনই কথা টা খুব ভাল করে জানতো। ছেলে টা খুব বাস্তব বাদী , তার প্রতিটি পদক্ষেপ হয় যৌক্তিক , বলতে গেলে “He is man of logic”। অন্য দিকে বই পোকা  মেয়ে টা সম্পূর্ণ বিপরীত, নতুন বইয়ের সাথে সাথে তার জগতের সব হিশাব নিকাশ বদলে যায়, তবে বেলিফুল আর কাঁচের চুরির জন্য তার ভালোবাসা বদলায় না।

একদিন দুপুরে ছেলেটা ফোনে একটা ম্যাসেজ আসে, “আমার কোভিড পজিটিভ। এই ম্যাসেজ দেখার পর ছেলেটার মাথার উপর যেন একটা পাহাড় ভেঙ্গে পড়ে। সে জানে ওর তেমন কোন ক্ষতি হবে নাহ, কিন্তু তারপরও মনে দুশ্চিন্তার ঝড় যেন থামতেই চায় না ।  এক সময় মনের  অজান্তে ছেলেটা বুঝতে পারে মেয়েটাকে বড্ড বেশি ভালবেসে ফেলেছে। মনকে যেন কিছুতেই শান্ত করতে পারছেনা সে। কোন যুক্তিই যে কাজ করছেনা, করবে কীভাবে ভালবাসার কাছে যে, যুক্তি অসহায়। শেষ-মেশ সে ঠিক করে ওকে দেখতে যাবে, বাসার নিচে থেকে সে এক পলক দেখবে, তার প্রিয় মানুষটাকে একটা সারপ্রাইজ দিবে।  কিন্তু ওর বাসা যে সে চিনে না, ঠিকানা সে জানে না। সে শুধু জানে ওর বাসা শহরের অন্য প্রান্তে, বাসার পেছনে একটা  প্রাইভেট ব্যাংকের ব্রাঞ্চ আর ওর বারান্দা দিয়ে মেট্রো রেলের ৬৭ নাম্বার পিলার দেখা যায়। শহরের ওই প্রান্তটা তার একদম ওচেনা। তাও সে  ঠিক করে সে যাবে, যাওয়ার আগে প্রিয় মানুষ টার জন্য, নিজ হাতে একটা চিঠি লিখে নিয়ে যাবে, যার শেষে লিখা থাকবে ইতি,তোমার জীবনের সবচাইতে উপেক্ষিত মানুষ, নিজের নাম। চিঠি টা পকেটে নিয়ে সে অজানার  উদ্দসে যাত্রা শুরু করে। ওর জন্য বেলি ফুল নিবে বলে ঠিক করে  কিন্তু বেলির দেখা পায় না। যেতে যেতে, ওর সামনে দারিয়ে সে কি কি বলবে সব ঠিক করে নেয়। মনে মনে সে চিন্তা করে চিঠি টা পড়ে তার প্রিয় মানুষটার কেমন লাগবে, শেষ অংশটা পড়ে কি সে গাল ফুলাবে ? যদি সে রাগ করে ? তাহলে ওকে, কীভাবে মানাবে ? ছেলে টা মনে-মনে ভাবে আর হাসে। দুই কোটি মানুষের ইট পাথরের এই শহরে, ঠিকানা না জানলে ও ওই বাসা খুঁজে বের করতে তেমন একটা সমস্যা হয় না। বাসার নিচে গিয়ে তাকে ফোন করে। কিন্তু তখন আকাশ বাতাস এক করে বৃষ্টি নামে ঝড় হয়। তাদের আর দেখা হয় না, ঠিক করে রাখা হাজার টা কথা তাকে আর বলা হয় না ,দেয়া হয়না অনেক যত্নে লিখা সে চিঠি। মনখারাপ করে ছেলেটা বাসায় ফিরে আসে, তার পকেটে যত্ন করে লিখা চিঠি টা যে ভিজে গেছে। সে ভেজা চিঠি বের করে সে শুখাতে দেয়, যাতে যত্নের কোন কমতি থাকে না। মনের কথা  চিঠি টা দিতে যায়, কিন্তু…………
ভেজা চিঠি টা কি প্রাপকের কাছে যায়? এর পরে কি হয় ? গল্পের বাকি অংশ টুকু আমার জানা নেই। বাকিটা, আমার পাঠকদের কল্পনার উপর ছেড়ে দিলাম। আপনি চাইলে “ভেজা চিঠি’র” বাকি অংশ লিখতে পারেন। আমাদের এক এক জনের কল্পনা এক এক রকম হবে, এ যেন কল্পনার মেলা।
বাকি অংশটুকু লিখে আমাকে পাঠাতে পারেন Email এ অথবা Facebook এ Tag করতে পারেন।
Email: Zunayed-islam@hotmail.com
Facebook: Zunayed Islam
( “এটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক একটি গল্পে, এর সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেয়” )।   

Comments