বৃষ্টি বিলাশ

“বৃষ্টি বিলাশ” লিখেছেন হুমায়ূন আহমেদ। এই বইয়ে অস্বাভাবিক কিছু না থাকলেও  অতি সাধারণ কে যে অসাধারণ করে তোলা যায় তা লিখক দেখিয়ে দিয়েছেন। এই বই পরে এমন কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে পেরেছি যার উত্তর কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা যায় না। যদি ও উত্তর গুলো বই তে সরাসরি না থাকেও , মাথা খাটিয়ে বের করতে হয়েছে।

মূল চরিত্র শ্যামা। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে বুদ্ধিমান,সুন্দরি  অন্য সব সাধারণ মেয়েদের মত তার ও বন্ধু-বান্ধব আছে ,অন্য সব সাধারণ মেয়ের মত সেও একটু আহ্লাদী আর অনেক ভাল মনের একটা মেয়ে, । ( কি ধরতে পেরেছেন, বুদ্ধিমান মেয়ে লিখেছি সেখানে হবে “বুদ্ধিমতী” ইচ্ছা করেই করেছি, অন্নের  ভুল ধরতে মানুষের খুব ভাল লাগে, তাই আপনাকে একটু ভালো লাগা দিলাম, নিচে আরও ভুল করবো দেখি ধরতে পারেন কিনা।) শ্যামারা দুই বোন এক ভাই সে বড়, তার ছোট বোন এশা নিজেকে খুব বুদ্ধিমতী প্রাণী মনে করে, কারণ সে এলাকার এক মাস্তান টাইপ ছেলেকে বিয়ে করতে চায় এবং ওই ছেলেকে সে বিয়ে করে, বিয়ের দিনই পুলিশের কাছে ধরিয়ে দিতে চায়। যাই হোক এশা মূল চরিত্র না। মূল চরিত্রে ফিরে যাই।

শ্যামার বিয়ে হবে। বিয়ের আগের একটা মেয়ের পরিবারের অবস্থা এবং বিয়ের আগে মেয়েদের বুনতে থাকা স্বপ্ন নিয়েই  এই গল্প। শ্যামাকে দেখতে আসবে সব, কিছু ঠিক-ঠাক থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই তার বিয়ে। এ কারণে তার বাবা-মা মেয়ের সব ছোট ছোট শখ-আবদার পূরণ করার চেষ্টা করছে। শ্যামার সাথে বিয়ে ঠিক হয় আতাউর নামের এক ছেলের , শ্যামা কে আতাউর যেদিন দেখতে আসে সে দিন থেকে গল্প শুরু। আতাউর লাজুক ধরনের ছেলে, ফর্সা-লম্বা, একটু রোগা দেখতে। পরে শ্যামা আতাউরকে ফোন করে এবং বলে আমি শ্যামার ছোট বোন এশা। এভাবে সে আতাউর নামের ভদ্র ছেলেটাকে বোকা বানাতে থাকে। সে আতাউরের সাথে দেখা করে, কিন্তু ব্যাপারটা সে এমন ভাবে করে, যাতে মনে হায়। পুরোটাই এশার কাজ।আতাউর কিছুই বুজতে পারে না । এক সময় বোকা সহজ সরল আতাউরকে তার ভাল লেগে যায়। লাগবেনা কেন মেয়েরা বিয়ে করার সময় সহজ সরল মরা টাইপ ছেলে খুঁজে , যাতে পুরো জীবনটা শান্তিতে পার করতে পারে, ছেলে দের ক্ষত্রে ব্যাপার টা একি। 

শ্যামার বিয়ের কিছুদিন আগে তার এক বান্ধবীর বিয়ে ঠিক হয়। তার বান্ধবি অনেক পয়সাওয়ালা। সে বিয়েতে শ্যামার সাথে পরিচয় হয় এক বড়লোক ছেলের সাথে যাদের গুলশানের বাড়িতে সুইমিংপুল আছে। ছেলের জন্য,  ছেলের মা ঢাকা শহরের যত মডেল আছে সবাই কে দেখে ফেলেছে কিন্তু ছেলের কাওকেই পছন্দ হয়না। গল্পটা এত সহজ নাহ অনেক কঠিন। পুর গল্পটা যানতে হলে পড়তে হবে “বৃষ্টি বিলাশ”।

শ্যামা কি করে তা আমার যানা নেই। তবে আপনাদের মধ্যে অনেকই আতাউরকে ভুলে যাবেন। এইটাই স্বাভাবিক। আমরা অনেকেই মনে করি টাকা দিয়ে সব কিনা যায় টাকা দিয়ে সুখ পাওয়া যায়। আসলে ব্যাপার টা সত্যি নাহ ,আবার মিথ্যা ও না । টাকা মানুষের জীবনকে সহজ করে মাত্র এর চেয়ে বেশি কিছু না। কিন্তু আমরা অনেক সময় মানুষ হয়ে,মানুষের তৈরি টাকা কে, মানুষের চেয়ে বেশি দাম দিয়ে দেই।   

Personal rating: 7/10
Highly recommended
#boi_review

#bookreview

Email: zunayed-islam@hotmail.com

Comments